প্রকাশিত: Fri, Feb 9, 2024 12:54 AM
আপডেট: Thu, Jun 26, 2025 2:58 AM

[১] স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে ধর্ষণ: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে ইয়াবার ‘হটজোন’ বানিয়েছিলেন মামুন

মুযনিবীন নাইম:[২] জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) এক দম্পতিকে ডেকে এনে স্বামীকে আবাসিক হলে আটকে স্ত্রীকে ধর্ষণের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন ওই দম্পতির পূর্বপরিচিত মামুনুর রশিদ মামুন। তাকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব বলছে, বহিরাগত হলেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়মিত যাতায়াত ছিল মামুনের। মাদক কারবারি মামুন কক্সবাজার থেকে ইয়াবা এনে বিক্রি করতেন। তার ইয়াবা বিক্রির হটজোন জাবি ক্যাম্পাস, বিশেষ করে বটতলা।

[৩] ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি মামুন ও মুরাদকে বুধবার গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

[৪]  বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মামুন ২০১৭ সাল থেকে জাবি ক্যাম্পাসের সিনিয়র প্রভাবশালী শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় ক্যাম্পাসে মাদক কারবার করে আসছেন। ক্যাম্পাসে আগেও নারী নিপীড়ন, ধর্ষণসহ শ্লীনতাহানির ঘটনায় জড়িয়েছে সে।

[৫] তিনি বলেন, মাদক বিক্রির সুবাদে মামলার ১ নম্বর আসামি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কয়েকজন ছাত্রের সাথে মামুনের সখ্য তৈরি হয়। একই এলাকায় বসবাসের সুবাদে পরিচয় হয় ভুক্তভোগী তরুণীর স্বামীর সাথে।   ভুক্তভোগীর স্বামীর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় মামুন মাদক সরবরাহ করতেন বলেও জানতে পেরেছে র‌্যাব।

[৬] তিনি আরও বলেন, বেশিদিন এক স্থানে থাকতেন না মামুন। মাদক কারবারের কারণে কিছুদিন পূর্বে গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন তিনি। তার থাকার জায়গা নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়। তখন তিনি ওই দম্পতির সাথে একটি বাসায় সাবলেট থাকেন।

[৭] জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যে বরাতে কমান্ডার মঈন বলেন, মামুন প্রায় ২০ বছর আগে জুরাইন এলাকায় গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে চাকরি শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি আশুলিয়া এলাকায় এসে গার্মেন্টসের চাকরির পাশাপাশি ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত হন। মাদক ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু মাদকসেবী শিক্ষার্থীর সঙ্গে তার সখ্য তৈরি হয়। ২০১৭ সাল থেকে তিনি পুরোপুরি মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় মাদক সংক্রান্ত ৮টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় একাধিক বার কারাভোগও করেছেন তিনি। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী